
সম্প্রতি তুরস্ক সিরিয়ায় কুর্দিদের উপর সর্বাত্বক হামলা শুরু করেছে আর একইসাথে স্বৈরাচারি জালিম রাজতন্ত্রের অন্ধ পূজীরাও এ বিষয়কে কেন্দ্র করে অপপ্রচারে নেমে পড়েছে।
ইসরাইলের লালিত স্বপ্ন ‘নিউ মিডল ইস্ট ও গ্রেটার ইজরায়েল’ দুটো পরিকল্পনারই গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত হল কুর্দিস্তান। কোন স্বাধীনতাকামী গুষ্ঠিকে সমর্থনের ইতিহাস না থাকলেও ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর কুর্দিদের গণভোটে একমাত্র ইসরাইল সমর্থন দেয়।
এই কুর্দি মার্কসবাদী তথা নাস্তিক্যবাদী যোদ্ধারা ইরাক সিরিয়া যেখানেই অঞ্চল দখল করেছে সেখানে সুন্নি মুসলমানদের উপর আইএস এর চেয়েও বেশি গণহত্যা চালিয়েছে । রাকা, মসুল, কোবানিতে এ ক্ষত এখনো রয়ে গেছে।
কুর্দিরা তুরস্কে বিভিন্ন সময়ে হামলা চালিয়ে নারী শিশু সহ প্রায় ৪০ হাজারের বেশি বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে।
কুর্দিদের কোনদিনই কোন পৃথক রাষ্ট্র ছিল না। বরং স্বাধীন কুর্দিস্তান ইসরাইলী রাজনৈতিক প্রকল্পমাত্র। কুর্দি সশস্ত্র গ্রুপ পিকেকে, ওয়াইপিজি ও পেশমার্গ এর অস্ত্র ও প্রশিক্ষন দাতা সরাসরি ইসরাইল। আর কুর্দিরা ইসরাইলের পক্ষে প্রকাশ্যে স্লোগান দেয় এবং ইসরাইলী পতাকা বহন করে।
নাস্তিক্যবাদী বামপন্থী কুর্দিরা সরাসরি চরম ইসলাম বিদ্ধেষী। কুর্দি নারী ও পুরুষ যোদ্ধারা এক সাথে থাকে ও অবাদ মেলামেশা করে। ফলে অসংখ্য ইসলাম প্রিয় কুর্দিও তুরস্কের বাহীনির সাথে মিলে কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
আর চরম বাস্তবতা হলো, তুরস্কের পক্ষে ৩৬ লাখ সিরিয়ান শরনার্থীকে সামলানো সহজ কোন কথা নয়। শরণার্থীরা যেখানেই যায়, সেখানকার স্থানীয় জনগনের ওপর চাপ পড়ে এবং ক্রমে স্থানীয় জনগন শরণার্থীবিদ্বেষী হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের রোহিঙ্গারা যার বড় প্রমাণ। সিরিয়া শরনার্থীদের বছরের পর বছর ধরে লালন পালন কোন স্থায় সমাধান নয় বরং সিরিয়দের তাদের বাড়ী ঘরে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়াই সবচেয়ে দায়িত্বপূর্ন কাজ। কুর্দিদের দখল করা জায়গা গুলো সব সিরিয়ানদের। সুতরাং তাদের জায়গায় তাদের ফেরত দিতে এই কঠিন সিদ্ধান্ত ছাড়া উপায় নেই।
এরপরও কোন নিরপরাধ মানুষ নিহত হোক তা কাম্য নয়। আর তুরস্কের প্রেসিডেন্টও বলেছেন, বর্বর কুর্দি যোদ্ধা আর নিরিহ কুর্দি জনগণকে আমরা এক পাল্লায় মাপতে চাই না।