
ইস্তাম্বুলঃ আমেরিকা ও ইসরাইল প্রস্তাবিত ডীল অফ দ্য সেঞ্চুরিকে প্রত্যাখ্যান করে আমেরিকার বিরুদ্ধে সরব হলেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি থেকে জনগণ সবাই।
সাম্প্রতিক আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড জে ট্রাম্প ইসরাইলের সমর্থনে শতবর্ষের সেরা চুক্তি বা Deal of the Century ঘোষণা করেন। এই চুক্তির মাধ্যমে জেরুজালেম কে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এই শতবর্ষের চুক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হল অধিকাংশ মুসলিম দেশ। আর সেই সাথে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হল তুরস্ক।
ফিলিস্তিন মুসলিম বিশ্বের জন্য পবিত্র আর ইসরাইল কে ছেড়ে দেবার কথা বলা ট্রাম্পের তথাকথিত শান্তি চুক্তি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়”। তিনি এই চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিনের অধিকার ক্ষুন্ন হবার অভিযোগ করেছেন।
-এরদোগান
তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রজব তৈয়্যব এরদোগান এই চুক্তিকে প্রত্যাখ্যান করে আমেরিকার বিরুদ্ধে তোপ দেখেছেন। তিনি এই চুক্তি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন,
“ফিলিস্তিন মুসলিম বিশ্বের জন্য পবিত্র আর ইসরাইল কে ছেড়ে দেবার কথা বলা ট্রাম্পের তথাকথিত শান্তি চুক্তি কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়”। তিনি এই চুক্তির মাধ্যমে ফিলিস্তিনের অধিকার ক্ষুন্ন হবার অভিযোগ করেছেন।
এদিকে তুরস্কের পার্লামেন্ট একটি বিবৃতিতে ট্রাম্পের উক্ত শান্তি প্রস্তাবকে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে। তুরস্কের পার্লামেন্ট উক্ত শান্তি চুক্তি কে অস্থিরতা ও সমস্যা তৈরির পরিকল্পনা হিসেবে বর্ণনা করেছে।
এদিকে তুরস্কের পার্লামেন্ট একটি বিবৃতিতে ট্রাম্পের উক্ত শান্তি প্রস্তাবকে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে। তুরস্কের পার্লামেন্ট উক্ত শান্তি চুক্তি কে অস্থিরতা ও সমস্যা তৈরির পরিকল্পনা হিসেবে বর্ণনা করেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুরস্ক ফিলিস্তিনের অধিকার রক্ষা করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাবার কথা জানিয়েছে তুরস্কের পার্লামেন্ট।
এদিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে তুর্কি জনতা এই চুক্তির বিরোধিতা করে আমেরিকার বিরুদ্ধে বিশাল গণবিক্ষোভের আয়োজন করে। আমেরিকার দূতাবাসের সামনেও বিক্ষোভ চালায় তারা।
উল্যেখ্যঃ আমেরিকা ও ইসরাইলের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে পাকিস্তান, কাতার, মরোক্কো, ইসলামী ইমারত আফগানিস্তান, ইরান, কুয়েত সহ অধিকাংশ মুসলিম দেশ। এই চুক্তির সমর্থন দিয়েছে আরব আমিরাত, বাহরাইন, ওমান ও সৌদি যারা জায়নবাদের একনিষ্ঠ গোলাম হিসেবে পরিচিত।