
জেদ্দাঃ যখন লিবিয়ার উলামা সহ মুসলিম বিশ্ব তুরস্কের লিবিয়া অভিযানের প্রসংশায় মুখর তখন সৌদি আরবের পক্ষে তুরস্কের সেনা অভিযানের বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বসল সৌদি আরবের রাবিতাতু আলামিল ইসলামী ।
সাম্প্রতিক সৌদি আরবের উক্ত সংগঠন তুরস্কের লিবিয়ায় শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে অভিযানের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানোর পর থেকে উক্ত সংগঠনের মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। আলেম ওলামা সহ মুসলিম বিশ্ব এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। আলেমগণের পক্ষ থেকে নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে যে, এরা কাশ্মীর ,বার্মা, উইঘুরদের নিয়ে চুপ থাকে কিন্তু তুরস্কের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে।
প্রখ্যাত আলেম ডক্টর মুহম্মাদ স্বগীর মজলুম মুসলিম বিশ্বের পক্ষে নিশ্চুপ থাকা ও লিবিয়ার সন্ত্রাসিদের পক্ষে আওয়াজ তোলাতে এই সংগঠনের নিন্দা জানিয়েছেন।
অপরদিকে কাতারের আব্দুল্লাহ আল উযাইন উক্ত সংগঠনের সদস্যদের ‘ভাড়াটে দাড়িগুলো’ বলে কটাক্ষ করেছেন। সালিহ বিন বাজ নামক অপর এক আলেম এই বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
প্রখ্যাত আলিম ডক্টর মুহাম্মাদ আল মাসয়ারী এই সংগঠনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এমনকি শুকর বলে এই সংগঠনের তথাকথিত আলেমদের নিন্দা জানিয়েছেন।
জর্দানের সাংবাদিক ইহসান আল ফক্বীহ এই সংগঠন ও তাদের আলেমদের নিন্দা জানিয়ে বলেছেনঃ
“তারা হাজার হাজার নাগরিক হত্যায় আল সিসিকে নায়ক হিসেবে গণ্য করেছে। কাতার অবরোধ, সিরিয়াতে রুশ বোমাবর্ষণ ও আফগানিস্তানে ও ইরাকে আমেরিকার অত্যাচারকে বৈধ ঘোষণা করেছে, (এগুলোর) কিছুই তাদের কষ্ট দেয় না। ইয়েমেনে ইবনে যায়েদের লালসার বলি ( একে নিন্দা করা) তাদের বিশেষত্বে নেই। কেবল তুরস্ক অত্যাচারী হফতারের দমনে লিবিয়ার বৈধ সরকারের ডাকে সাড়া দেওয়ার ব্যাপারে এদের ( সৌদ দালালদের) জমা করেছে( অর্থাৎ কেবল তুরস্কের ব্যাপারে এরা জমা হয়েছে)”
অপরদিকে তুরস্কের সাংবাদিক মুহাম্মাদ এরদোয়ান ও এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এই সংগঠনের নিন্দা জানিয়ে বলেনঃ
“হে সুদাইস আর যারা তার সাথে আছ! তোমরা জনতার প্রতিনিধিত্ব কর না , তোমরা তোমাদের ঐসব রাজাদের প্রতিনিধিত্ব কর যারা তাদের নেতাদের কাছে দাস (ছাড়া আর কিছু নয়) ।
তোমরা ভাড়াটে মানুষ, তোমরা তোমাদের নেতা, তোমাদের শান্তির ছেলে (মানুষ) ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে থাক, এটাই তোমাদের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে!
প্রতি মিনিটে মুসলিম বিশ্বের রক্ত ঝরছে আর তোমরা কিনা তোমাদের নেতাদের সন্তুষ্ট করতে ব্যস্ত রয়েছ।”
তুরস্কের অপর সাংবাদিক এর তীব্র কটাক্ষ করে বলেন,
“হে জ্ঞানপাপীরা! আমি আল্লাহর কাছে দোয়া চাই যেন তিনি কিয়ামতের দিন তোমাদের মুখ কালো করে দেন যেমনভাবে তিনি দুনিয়াতে তোমাদের হৃদয়গুলোকে কালো করে দিয়েছেন। তোমরা একচোখা চোখ দিয়ে কেবল তুরস্ক কেই দেখতে পাও , হে দাসেদের দুয়ারে মাথা ঝুঁকিয়ে থাকা ব্যাক্তিরা। তোমরা তোমাদের অন্ধ চোখে তুরস্ক ছাড়া আর কাওকে দেখতে পাও না , হে ইসলাম ও তার প্রতিক ব্যাবসায়ীরা।…”
এছাড়া আরো অনেকেই এই সংগঠনটির এবিষয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। উল্যেখ্যঃ সৌদি আরবের এই সংগঠনটি সহ অন্যান্য সংগঠন গুলো বর্তমানে সৌদি আরবের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে।