
মাতৃদুগ্ধ সংরক্ষণে ‘মিল্ক ব্যাংক’ স্থাপনের বিরুদ্ধে যথাযথ শর্ত আরোপ চেয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
যাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, শিশু-মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (আইসিএমএইচ), নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্র (স্কানো), নবজাতক আইসিইউ (এনআইসিইউ) এবং ঢাকা জেলা প্রশাসক।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহমুদুল হাসান এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, ‘মিল্ক ব্যাংক’ ইস্যুতে আইনগত ও ধর্মীয় সমস্যা রয়েছে। ইসলামী শরীয়াহ মতে, কোনও শিশু কোনও মহিলার দুধ পান করলে ওই মহিলা ওই শিশুর দুধমাতা হয়ে যান। দুধপানকারী সন্তানরা ওই মহিলার সন্তান হিসেবে গণ্য হয়।
ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে ওই ‘মিল্ক ব্যাংক’ স্থাপনের ফলে একই মায়ের দুধ পানের কারণে যারা দুধ পান করবে তারা প্রত্যেকে ভাই-বোন হয়ে যাবে। তাই ভবিষ্যতে এসব ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ে হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। কিন্তু ইসলামে ভাই-বোনদের মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ।
এছাড়া মিল্ক ব্যাংক ১৯৩৭ সালের মুসলিম ব্যক্তিগত আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। তাই নোটিশ অনুসারে মিল্ক ব্যাংক স্থাপনে যথাযথ শর্ত আরোপ চাওয়া হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, ইতোমধ্যে হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক যাত্রা শুরু করেছে। ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক’ ঢাকা জেলার মাতুয়াইলের শিশু-মাতৃস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (আইসিএমএইচ) নবজাতক পরিচর্যা কেন্দ্র (স্ক্যানো) এবং নবজাতক আইসিইউয়ের (এনআইসিইউ) নিজস্ব উদ্যোগে গত ১ ডিসেম্বর থেকে প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করা হয়নি। তাই নোটিশে ওই প্রতিষ্ঠানটিও বন্ধ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।