বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি করতে চায় তুরস্ক। সাম্প্রতিক ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা উসমান তুরান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারী আবাসস্থল গণভবনে তাঁর সাথে একটি সাক্ষাতে একথা জানান।
এদিন দুই মুসলিম দেশের ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের কথা উল্লেখ করে তিনি বাংলাদেশের সাথে তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি জানান বাংলাদেশে তুরস্ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ যথেষ্ট পরিমাণে বৃদ্ধি করতে চায়। তিনি জানান, তুরস্কের এলপিজি কোম্পানি আইগাজ চিটাগাং এলপিজি ফিলিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন বিজনেসে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। এছাড়া তুরস্কের প্রতিযোগী কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বৃহৎ প্রকল্পের জন্য আগ্রহী বলে তিনি জানান।
এছাড়া তুরস্ক বাংলাদেশে ঢাকাতে একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বলে তুরান জানান।
রজব তৈয়্যব এরদোগানের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে তিনি এদিন আলোচনা সম্পন্ন করেছেন।তিনি জানান কোভিড ১৯ এর জন্য তৈয়্যব এঁর বাংলাদেশ সফর এখনো বিবেচনাধীন। আগামী মার্চ মাসে বাংলাদেশে মুজিব সার্ধশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এরদোয়ানের আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়া শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যপারে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা মজলুম মুসলিমদের বিষয়ে উভয়ে আলোচনা করেন। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ব্যপারে তুরস্ক ও বাংলাদেশ একাত্মতা প্রকাশ করেছে। তুরান বলেন যে, ভাসান চরে রাষ্ট্রসংঘের অ্যসেসমেন্ট হবার পর প্রথম দেশ হিসেবে তুরস্ক সেখানে যাবে।
উল্লেখ্যঃ তুরস্ক দিয়ানেত , তিকা, আফাদ সহ বিভিন্ন তুর্কি দাতব্য সংস্থার সহযোগিতায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের সহায়তা করে যাচ্ছে।
[ টি আর টি বাংলা কর্তৃক প্রচারিত]
217 total views, 1 views today