শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামিক স্কলার, হাল জামানার মুসলিম উম্মাহর এক বড় নক্ষত্র, বিশ্ববিখ্যাত গবেষক, প্রভাবশালী লেখক এবং চিন্তক— ড. ইউসুফ আল কারদ্বাভি আল্লাহ তা’আলার জিম্মায়। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ তায়ালা তাঁর ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করে নিন।
জগদ্বিখ্যাত এই মিশরীয় স্কলার নির্বাসিত অবস্থায় তাঁর জীবনের শেষ বছরগুলো কাটিয়েছেন কাতারে। সেখানে বসেই রচনা, গবেষণা, লেকচার ইত্যাদিতে পূর্ণ আত্ননিয়োগ করেছিলেন। মিশরে আল আজহার জামে মসজিদে একবার সরাসরি শাইখের জুমার খুৎবাহ শুনার সৌভাগ্য হয়েছিল। ২০১৮ সালে আমার কাতার সফরের সময়কালে শাইখের সাথে একান্ত সাক্ষাতের এপয়েনম্যান্ট নিয়েছিলাম কিন্তু হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেটা আর সম্ভব হয়নি।
উম্মাহর এই রাহবার তাঁর সকল লেখনি ও বক্তব্যে উম্মাটিক কনসেপ্ট এবং ওয়াসাতিয়্যাহ ফ্রেমওয়ার্ক তথা মধ্যমপন্থা অবলম্বন করতেন। তাই তাকে ইমামুল ওয়াসাতিয়্যাহ বলা হয়। সমসাময়িক নানা ইস্যুতে ইসলামের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যাখ্যা ও যৌক্তিক উপস্থাপনের ক্ষেত্রে উনার সমতূল্য দ্বিতীয় কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আগামী একশো বছর মুসলিম উম্মাহ এমন লিজেন্ডারি স্কলার পাবে কিনা আল্লাহ মা’লুম।
রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিল্পকলা, দর্শনসহ নানা বিষয়ে তিনি শতাধিক বই লিখেছেন। সমসাময়িক বিশ্বে মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনামূলক বার্তা প্রদান করেছেন। মধ্যমপন্থী স্কলারদের সুসংগঠিত করেছেন। গোটা আরববিশ্বে রীতিমত ইসলামি নব জাগরণ তৈরী করেছিলেন। তাঁর জীবন ও কর্ম তাঁকে দীর্ঘদিন আমাদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখবে।
399 total views, 1 views today